মুসলমানদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবনীর ঈদ যা হিজরী সনের দ্বাদশ মাস জিলহ্বজ মাসের দশম তারখে পালিত হয়ে থাকে। মূলত চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে এই ধর্মীয় উৎসবটি। এই দিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ তাদের মহান স্রষ্টা অবিনশ্বর সত্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে গরু, ছাগল, মহিষ, উট, দুম্বা জবেহ করে থাকেন। এসময় কোরবানির পশু ক্রয় সংক্রান্ত বিষয় থেকে যায়। সুপ্রাচীন কাল হতেই হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচার একটা রেওয়াজ থাকলেও সময়ের চাহিদা ও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সনাতন হাটের সাথে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ডিজিটাল পশুর হাট বা অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মত দেশের ক্লাসিফাইয়েড বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম ইনভেটিভ এই আইডিয়াটি নিয়ে কাজ করলেও তেমন সাড়া না পাওয়ায় সফলকাম হতে পারেনি। পরবর্তী কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ২০১৯ সালে দেশীয় মাংস উৎপাদনকারী ও বিপণন প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মিট একই উদ্যোগ হাটে নিলে ব্যাপক সাড়া এবং আইডিয়াটি সফলতার মুখ দেখে। ২০২০ সালের কোরবানির ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে করোনা হানা দিলে এবং সরকার কর্তৃক জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল গরুর হাট বা অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করে। যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ২০২১ সালে বড় বড় ইকমার্স জায়ান্ট উক্ত ডিজিটাল বা অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির ঘোষণা দেয়। তা মধ্যে রয়েছে দেশের সবথেকে বড় ইকমার্স ইভ্যালি, দারাজ, কিউকম ইত্যাদি।
অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট
অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট বা কোরবানির পশু বিক্রি করে এমন প্রতিষ্ঠানেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রথম সারির ইকমার্স যারা কোরবানির গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, মহিষ বিক্রি করে থাকে তা হলো ইভ্যালি ডটকম ডটবিডি, বিক্রয় ডটকম, বেঙ্গল মিট, কিউকম ডটকম, ডিজিটাল হাট, দারাজ গরুর হাট, প্রিয়শপ, দেশি গরু, মাদল, হেক্সা ট্রেডিং, ই-বাজার, অথবা ডটকম, সদাগর, আজকের ডিল ইত্যাদি।
ইভ্যালি গরুর হাট
সম্প্রতি ইভ্যালি গরুর হাট নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যার লক্ষ্যে হলো অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করা। এর প্রেক্ষিতে দেশ সেরা ইকমার্স ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি চুক্তি করে দেশের সবথেকে বড় কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাবিব গ্রুপের গরুর ফার্ম আলমগীর র্যাঞ্চ লিমিটেডের সাথে। এবিষয়ে আলমগীর র্যাঞ্চ লিমিটেড ও ইভ্যালি ডটকম ডটবিডি-এর যৌথ সংবাদ স্মমেলনে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা জানান, চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে নিরাপদে রাখতে তারা এমন উদ্যোগ হাতে নেয়। ক্রেতা তাঁর পছন্দের কোরবানির পশু (গরু/ছাগল/মহিষ) অনলাইনে ভিডিও বা ছবি দেখে পছন্দ করতে পারবে। পাশাপাশি গরুর বিস্তারিত (বয়স, ওজন) দেশে কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে গরুর দাম নির্ধারণ করা হবে গরুর ওজন অনুসারে। লাইভ ওজন হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন (ভুরি ও চামড়ার জন্য) ছেড়ে দিয়ে প্রতি কেজির মুল্যকে বাকি অজনের গুণিতক করে নির্ধারণ করা হবে। ক্রেতা তাঁর অর্ডার করা কোরবানির পশুটি পরবর্তী দিনে ডেলিভারির ঠিকানায় পেয়ে যাবে। এছাড়া, ঈদের আগে কেনা কোনো ক্রেতা চাইলে আলমগীর র্যাঞ্চ লিমিটেড-কে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে কোনো ধরনের আতিরিক্ত মুল্য পরিশোধ করতে হবে না।
বিক্রয় ডট কম ‘বিরাট হাট’
বিক্রয় ডট কম হলো বাংলাদেশে অনলাইনে কোরবানির গরু বা ছাগল বিক্রির পথ প্রদর্শক। ‘বিরাট হাট’ নামের ক্যাম্পেইন নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে ক্লাসিফাইয়েড বিজ্ঞাপনের এই সাইটটি তাদের সাইটে গরু/ছাগল বিক্রি করে আসছে। আগের নিয়মের পাশাপাশি তারা নিত্য নতুন ফিচার ও গ্রাহক সন্তুষ্টির দিকগুলো সংযোজন করে আসছে। তারাই প্রথম লাইভ ওয়েট গরু বা ছাগল বিক্রি শুরু করে। সব থেকে আকর্ষণীয় ও যুগোপযোগী ফিচার হলো কেউ চাইলে অংশীদারি কোরবানিরও সুযোগ করে দিবে বিক্রয় ডট কম। এক্ষেত্রে অংশীদার নির্বাচন করবে বিক্রয়। আরও একটি আকর্ষণীয় ফিচার হলো ক্রেতা চাইলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা কোরবানির পশু হাতে পেয়ে, দেখে শুনে মুল্য পরিশোধ করতে পারবেন যে সুযোগ সচরাচর অনেকেই দেন না। আর পাশাপাশি কেউ চাইলে অনলাইনে পশু পছন্দ করে মুল্য পরিশোধ করে দিয়ে তাঁর পক্ষে প্রতিষ্ঠান কোরবানি করে ক্রেতার চাহিদা অনুসারে মাংশ কেটে বাসায় বা দান করে দেবে।
ডিজিটাল হাট ডট নেট
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অনলাইনে কোরবানির গরু ক্রয় করার একমাত্র ডিজিটাল প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইট ডিজিটাল হাট ডট নেট। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-র উদ্যোগে আইসিটি বিভাগ ও এটুআই-এর কারিগরি সহযোগিতার অনলাইনে কোরবানির গরু ক্রয় বা বিক্রয়ের এই উদ্যোগ হতে নেয়া হয় গত ২০২০ সালের ঈদুল আজহা উপলক্ষে। যেখানে শুধুমাত্র ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান বিক্রি করতে পারবেন।
ডিজিটাল হাট হতে গরু বা কোরবানির পশু কিনতে ওয়েবসাইটে পশুর জাত, রঙ ও ওজন দিয়ে পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট করা যাবে ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে। গ্রাহক কর্তৃক চাইলে কেনা পশু জবাই করত কেটে মাংস হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এজন্য ব্যবহৃত কসাই সার্ভিস হিসেবে অতিরিক্ত ২৩ শতাংশ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এছাড়াও, রয়েছে হোম ডেলিভারি সার্ভিস যার জন্যও পেমেন্ট করতে হবে।
দারাজ ডটকম ডটবিডি
দেশের অন্যতম বড় একটি ইকমার্স সাইট হলো দারাজ ডটকম ডটবিডি। দারাজ ২০১৭ সাল হতে ‘গরুর হাট” নামক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কোরবানির গরু/ছাগল/মহিষ বিক্রি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের আনাছে কানাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রান্তিক খামারিদের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত গরু/ছাগল/মহিষ বিক্রির সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা শতভাগ অর্গানিক গরু পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি গরুর লাইভ ওয়েট, রঙ, দাত ইত্যাদি দেখে কেনার এবং ছবির পাশাপাশি খামার ও গরুর ভিডিও দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। এছাড়া, বিদেশি উন্নত জাতের গরুর পাশাপাশি রয়েছে দেশি জাতের সনাতন পদ্ধতিতে লালিত পালিত গরু।
অথবা ডটকম
২০২০ সাল হতে ‘অনলাইন কোরবানির হাট’ শিরোনামে কোরবানির পশু বিক্রি করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ইকমার্স প্রতিষ্ঠান অথবা ডটকম। কোরবানির গরু বিক্রির পাশাপাশি ছাগল ও কোরবানির সরঞ্জাম বিক্রি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া, মুল্য পরিশোধ সাপেক্ষে কসাই সার্ভিস ও কোরবানির পশু প্রসেস করতঃ হোম ডেলিভারি করে থাকে। অথবা ডটকম-এর হটলাইন নম্বর 09613800800-তে ফোন করেও কোরবানির পশু অর্ডার করা যাবে। এক্ষেত্রে, দাম নির্ধারণ করা হবে লাইভ ওয়েট বা ওজনের ভিত্তিতে।
বেঙ্গল মিট কোরবানি
বেঙ্গল মিট বাংলাদেশের প্রথম প্রসেস বা প্রক্রিয়াজাত করা গরুর মাংস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান যারা ২০১৭ সাল হতে লাইভ ওয়েট হিসেব করে অনলাইনে কোরবানির পশু (গরু ও ছাগল) বিক্রি করে আসছে। আইএসও সার্টিফায়েড এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ হালাল, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদান করতঃ বাংলাদেশি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার রয়েছে নিজস্ব প্রশিক্ষিত কর্মী যার ফলে জবাইকৃত পশুর মাংসের অপচয় হয় না। বেঙ্গল মিট কোরবানি অফারে থাকে গরু বা ছাগল বা মহিষ কোরবানি ও মাংস প্রসেস করে প্যাকেট করতঃ হোম ডেলিভারি।
ই-বাজার
ইকমার্স মারকেতপ্লেস ইভ্যালি’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান ই-বাজার ডটকম যা মূলতঃ ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে থাকে। ২০২০ সালে করোনাকালীন এই প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমার টু কাস্টমার (সি টু সি) পদ্ধতি অবলম্বন করে কোরবানির পশু বিক্রি করে। অর্থাৎ বিক্রেতা সরাসরি ই-বাজার প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ক্রেতার সাথে সংযুক্ত হয়ে বিক্রি করতে সক্ষম। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি রয়েছে আন্ড্রোয়েড এপস। তবে মুল্য পরিশোধ করতে হবে ই-বাজার পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে, কাস্টমার ও বিক্রেতা কোনো পক্ষের ঝুকি থাকে না।
প্রিয়শপ
দেশের পুরাতন একটি ইকমার্স সাইট যারা সম্প্রতি অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু করে যার ক্যাম্পেইন নাম দেয় ‘অনলাইন গরুর হাট’। অন্যান্য সাইটের ন্যায় অনলাইনে গরু দেখে লাইভ ওয়েটে গরু কিনতে পারবে গ্রাহক। ক্রয় করার জন্য পেমেন্ট ব্যাতিত অন্য কোনো চার্জ দিতে হয় না বা তারা অন্য কোনো ধরনের সার্ভিসও প্রদান করে না।
সওদাগর ডটকম
নতুন স্টার্টআপ হিসেবে যাত্রা শুরু করা ইকমার্স ওয়েবসাইট সওদাগর ডটকম ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনলাইনে গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ইতাদি বিক্রি করে আসছে। পশু ডেলিভারির ফি প্রদান সাপেক্ষে ক্রেতা ঠিকানায় অনলাইনে ছবি বা ভিডিও দেখে কেনা গরু পোঁছে দিয়ে আসছে। এখানে থাকা খামারিরা তাদের পশুর ছবি, ভিডিও, বয়স, রঙ ও ওজন দিয়ে তাঁর দাম নির্ধারণ করে রেখেছে। ক্রেতা পছন্দ অনুসারে তা ক্রয় করতে সক্ষম।
অনলাইনে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে
ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাড়ছে ঝুঁকিও। বিশেষ করে ভুঁইপোড় বা নামকাওয়াস্থে তৈরি হওয়া ইকমার্স সাইটে এধরনের ঝুঁকি অনেক বেশি। এক্ষেত্রে, রয়েছে এক পণ্য দেখিয়ে অন্য পণ্য দেওয়া কিংবা আগে পেমেন্ট করার পর পণ্য না দেওয়া কিংবা সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া। এসব ঝুঁকির পাশাপাশি রয়েছে পেমেন্ট করার পর কার্ড বা ব্যাংক-তথ্য রেখে দেওয়া। এধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি অনেক সংগঠন কাজ করে থাকে। তাই ইকমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান নয় এমন প্রতিষ্ঠান বা ইকমার্স সাইট থেকে পণ্য না কেনা বা এসব সাইটে পেমেন্ট না করাই উত্তম।
অনলাইনে পাওয়া যাবে কসাই সার্ভিস
কোরবানির গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা, বকরি বা উট যাই কেনার পর যা প্রয়োজন তা হলো কসাই সার্ভিস বা যা খুঁজি তা হলো ‘কসাই কোথায় পাই’। সময়ের চাহিদা হেতু এসব সার্ভিস এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এবং তা কোরবানির আনেক আগে থেকেই বুক করে রাখা সম্ভব হচ্ছে। সম্প্রতি, অনলাইন সার্ভিস অনেক প্রোভাইডার স্টার্ট আপ বাংলাদেশে চালু হয়েছে। তাঁর মধ্যে রয়েছে অনলাইন কসাই সার্ভিস। সেবা (sheba xyz) অনেকদিন থেকেই এসব সার্ভিস দিয়ে আসছে। পাশাপাশি, ইভ্যালি তাদের নিত্য নতুন অফারে ঈদুল আযহার পূর্বে অনলাইনে কসাই সার্ভিস সংক্রান্ত অফার দিয়ে থাকে। এছাড়া, অনেক ইকমার্স ও সার্ভিস প্রভাইডার এমন সার্ভিস দিয়ে আসছে।
কোরবানির গোস্ত হোম ডেলিভারি ও গোস্ত বন্টন
শুধু অনলাইন কসাই সার্ভিস নয়, এখন আপনার হয়ে কোরবানি করে সে পশু প্রসেস করতঃ মাংস কেটে প্রয়োজনে কোরবানির গোস্ত বন্টন বা তা প্যাকেট করে বাসায় পৌঁছানোর কাজও করে থাকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনার হয়ে কোরবানি দিয়ে কোরআন ও হাদিস মোতাবেক গরীব-দুঃখী, এতিমখানা কিংবা লিল্লাহ বোর্ডিং-এ গোস্ত বন্টন করে থাকে।
শেষকথা
সময়ের প্রেক্ষিতে অনলাইনে কোরবানির গরু কেনার ক্ষেত্রে দেখা উচিত যে গরুটি অনলাইনে আপনি দেখছে সে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু, সেখানে পূর্ববর্তী কাস্টমারগণ কেমন রিভিউ দিয়েছেন কিং রিভিউ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, দেখানো পশুই তারা ডেলিভারি করবে কিনা এবং কোন সময়ের মধ্যে ডেলিভারি করবে, ডেলিভারির ক্ষেত্রে পেমেন্ট করতে হবে কিনা, পশুটি সুস্থ্য কিনা এবং তা কিভাবে পালন করেছে। এসব দেখার পর, যে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে তা হল পেমেন্ট বা মুল্য পরিশোধ ব্যবস্থা ও মাধ্যম। পেমেন্ট কোনো গেটওয়ে ব্যবহার করে নিচ্ছে কিনা কিংবা ক্যাশ অন ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে কিনা। এসব বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয় করবেন।