আইয়ামে বীজের রোজা আগষ্ট ২০২৩
হিজরি সন বা প্রতি চন্দ্র মাসে তিনটি রোজার নিয়ম রয়েছে যা হাদিসে আইয়ামে বীজের রোজা নামে পরিচিত। রোজাগুলো প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখতে হয়।
আগস্ট ২০২৩ বা হিজরি ১৪৪৫ সনের সফর মাসের আইয়ামে বীজের রোজা কবে রাখতে হবে।
হিজরি ১৪৪৫ সনের সফর মাস শুরু হয়েছে ১৯ আগষ্ট ২০২৩ তারিখে। চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী আইয়ামে বীজের রোজা আগষ্ট ২০২৩ শুরু হবে ৩১ আগষ্ট ২০২৩ যা ১ ও ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত পালন করতে হবে।
আইয়ামে বীজের রোজা পালনের হাদিস
প্রত্যেক (চান্দ্র) মাসে ৩টি করে রোযা রাখা মুস্তাহাব। আব্দুল্লাহ বিন আম্র বিন আস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ”প্রত্যেক মাসে তিনটি রোযা রাখা সারা বছর রোযা রাখার সমতুল্য।”
আবূ যার্র (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে ৩টি করে রোযা রাখবে, তার সারা বছর রোযা রাখা হবে। আল্লাহ আযযা অজাল্ল্ এর সত্যায়ন অবতীর্ণ করে বলেন, কেউ কোন ভাল কাজ করলে, সে তার ১০ গুণ প্রতিদান পাবে। (কুরআনুল কারীম ৬/১৬০) এক দিন ১০ দিনের সমান।’
ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ধৈর্যের (রমাযান) মাসে রোযা আর প্রত্যেক মাসের তিনটি রোযা অন্তরের বিদ্বেষ ও খট্কা দূর করে দেয়।’
পক্ষান্তরে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁর একান্ত ভক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ)-কে এই রোযা রাখতে অসিয়ত (বিশেষ উপদেশ) করেছেন।
অবশ্য এই তিন রোযা প্রত্যেক চান্দ্র মাসের শুক্ল পক্ষের শেষ দিনগুলিতে; অর্থাৎ, ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে হওয়া মুস্তাহাব। যেহেতু আবূ যার্র (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল তাঁকে বলেছেন, ‘হে আবূ যার্র! মাসে ৩টি রোযা রাখলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখ।’
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) রাখতেন প্রত্যেক মাসের প্রথম সোমবার, অতঃপর তার পরের বৃহস্পতিবার, অতঃপর তার পরবর্তী বৃহস্পতিবার।
কোন কোন বর্ণনা মতে মাসের শুক্লপক্ষের শেষ তিনদিন রোযা রাখতেন।
আর কোন কোন বর্ণনা মতে তিনি কোন নির্দিষ্ট দিনের খেয়াল না করেই যে কোন দিনে ৩টি রোযা রাখতেন।
সূত্র : (বুখারী ১৯৭৯নং, মুসলিম ১১৫৯ নং); (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ১৭০৮নং, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৪/১০২); (বাযযার, সহীহ তারগীব, আলবানী ১০১৮নং); (দ্রঃ আহমাদ, মুসনাদ ২/৪৫৯, বুখারী ১১৭৮, মুসলিম ৭২১, দারেমী, বাইহাকী ৪/২৯৩ প্রমুখ); (আহমাদ, মুসনাদ ৫/১৬২, ১৭৭, তিরমিযী, নাসাঈ, বাইহাকী ৪/২৯৪, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯৪৭নং); (আহমাদ, মুসনাদ, আবূ দাঊদ, নাসাঈ, তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৪১৫পৃঃ দ্রঃ); (সহীহ আবূ দাঊদ ২১৪০নং); (মুসলিম ১১৬০, সহীহ আবূ দাঊদ ২১৪২নং)
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.