সবাইকে স্বাগতম! ‘আজকের বাজারদর’ বাংলা ভাষায় সব থেকে বেশি তথ্য সমৃদ্ধ ও প্রথম লাইফস্টাইল ব্লগ শৈলী ডট কম ডট বিডি’র নিয়মিত আয়োজন। এখানে আমরা চাল, ডাল, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ, সবজি, মশলাসহ সকল নিত্যপয়োজনীয় গ্রসারি আইটেম বা সপ্তাহিক বাজারদর উপস্থাপন করে থাকি, যা প্রতি শুক্রবার/শনিবার প্রকাশিত হয়। এর পাশাপাশি আমরা আমাদের কলেবর বৃদ্ধি করারও কাজ করছি। আমরা খুব অচিরেই প্রতি শুক্রবার সকালে ঢাকার যেকেনো একটি বাজারের লাইভ বাজারদর ভিডিও ব্লগ আকারে আপনাদের জন্য নিয় আসব।
দেখে নেয়া যাক এ সপ্তাহের বাজারদর।
প্রথমেই আমরা মাছ-মাংসের দাম নিয়ে বলব। রোজার ঈদ শেষ হলো দুসপ্তাহ পূর্বে। ঈদ পূর্ব বাজারে মাছ ও মাংসের চাহিদা বাড়তি ছিল, ফলে স্থান বা অঞ্চলভেদে গরুর মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছিল ২০ থেকে ৫০ টাকা। আর মুরগির (দেশী, ব্রয়লার, লেয়ার ও কক) দাম ছিল তার আগের মাসের তুলনায় সহনীয়, কিন্তু স্বভাবিক সময়ের চেয়ে দাম খানিকটা বেশি। মাছের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছল।
ঈদ পরবর্তী মাছ ও মুরগীর দাম খানিকটা কমলেও গরুর মাংসের দাম ছিল অপরিবর্তনীয়। আজ (৪ জুন ২০২১) রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, চাহিদা বেশি থাকায় চলতি সপ্তাহের প্রথমেই প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা করে বেড়ে যায় মাছের দাম। তবে, খানিকটা সহনীয় আছে মুরগীর দাম। একই সাথে দাম বেড়েছে হাঁস ও মুরগির ডিমেরও। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডজনে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে লেয়ার ও হাঁসের ডিম। মুরগির ডিমের দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা প্রতি হালি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচা বাজার ও মোহাম্মদ কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় ১ কেজি বা তার চেয়ে বড় আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ হতে ২০০০ টাকায়। ৯০০ গ্রাম এর কম ওজনের ইলিশের কেজি ১০০০ হতে ১২০০ টাকা। উৎস ভেদে শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মাছ ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। পাবদামাছ ৩০০ থেকে ৩৫০, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইর মাছ ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। মলা বা কাঁচকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বাইম ৫৫০ হতে ৬৫০ টাকা, টাকি মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল ও গজার মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
এদিকে, তরকারির বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি সবজিরও দাম গত সপ্তাহের তুলনায় খানিকটা বেড়েছে। পাইকার ও খুচরা ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ বা যশের কারণে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির প্রভাব পড়ছে সবজিতে। মাঠে পনি জমে যাওয়ার ফলে সবজির দামের এই উর্ধ্বগতি থাকতে পারে আরও দুই সপ্তাহ। প্রায় সকল সবজিতেই ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
এই সিজনের সবজি পটোল, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, পেঁপে, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, করলা প্রভৃতি সবজিগুলো ৪০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচু, লাউ ও চাল কুমড়ো ২০ থেকে ৩৫ টাকা করে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ো প্রতিটি (৩ থেকে ৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এছাড়া কেজি দরে মিষ্টি কুমড়ো ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, লেবু (সীড লেস) ২০ থেকে ২৫ টাকা প্রতি হালি, কগজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি ডজন এবং এলাচ লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা করে প্রতি হালি। কাঁচা আম ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি।
পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে কিছুটা বাড়লেও এই সপ্তাহে ৫ টাকা কেজিতে কমে ৫৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম স্থিতিশীল ছিল এই সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
সিজনাল ফল আম (জাত ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা করে প্রতি কেজি। জাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি। লিছু জাত ভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা করে। জামরুল পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা করে।