আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী
২০২১ সালের রমজান মাস বা রোজা কবে শুরু হবে তা নিয়ে আমাদের মাঝে কাজ করে নানা উৎকণ্ঠা আর উদ্দীপনা। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা খুঁজতে থাকি কোন মাসের কত তারিখে শুরু হচ্ছে রোজা, কত তারিখে শবে বরাত, কত তারিখে পালিত হবে ঈদুল ফিরত বা রোজার ঈদ, কবে হবে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ।
আজ সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ রমজান ১৪৪২ হিজরি।
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী
আজকের সেহরির শেষ সময়ঃ ০৪-০৪ মি;
আজকের সেহরির শেষ সময়ঃ ০৬-২৯ মি;
উপরোক্ত ইফতার ও সেহরির সময়সূচী ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলার জন্য প্রযোজ্য। উক্ত সময়সূচী ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ২০২১ সালের রমজান বা রোজার ক্যালেন্ডার হতে সংগৃহীত। ঢাকার ইফতার ও সেহরির এই সময়ের সাথে কিছু জেলার মিল থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সময়ের পার্থক্য রয়েছে। তাই এসব জেলার ইফতার ও সেহরির সময় নির্ধারণে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
জেলাভিত্তিক ইফতার ও সেহরির সময়সূচী
আমরা জানি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ শুধু ঢাকা জেলার ও ঢাকার সাথে পালিত জেলার জন্য সময়সূচী দিয়ে রোজার ক্যালেন্ডার তৈরি করে থাকে, যার সাথে অন্যান্য জেলায় সময় সংযোজন বা বিয়োজন করে সংশ্লিষ্ট জেলার জন্য সময়সূচী তৈরি করতে হয়।
২০২২ সালের রোজার সময়সূচী রমাজন ক্যালেন্ডার
রমাজান ক্যালেন্ডার বা রোজার সময়সূচী মূলতঃ রোজা কবে শুরু হচ্ছে এবং রোজায় ইফতার ও সেহরির সময় কখন তা নির্ধারণে হয়ে থাকে। আমরা জানি, আরবি পঞ্জিকা বা হিজরি সনের মাস শুরু নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর। সুতরাং, আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে তারিখ বলা কিংবা পঞ্জিকা তৈরি সম্ভব হয় না। যদিও, বর্তমান সময়ে নতুন চাঁদের জন্ম বা উদিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণে বিজ্ঞানের জ্যোতি শাস্ত্র ঠিক করতে সম্ভব। এই শাস্ত্র পরবর্তী প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত চাঁদের তারিখ বা নতুন চাঁদের ক্ষণ হিসেব করে রেখেছে।
এছাড়া, ইংরেজি বছরের সহিত পূর্ববর্তী আরবি সনের তারিখের তুলনায় দেখা যায় আরবি মাসগুলো বা সন শুরুর তারিখ প্রতি বছর ১০ হতে ১২ দিন এগিয়ে যায়। সে হিসেবে ২০২২ সালের রোজা বা রমজান মাস শুরু হবে এপ্রিল ২০২২ এর প্রথম সপ্তাহে।
ইফতার ও সেহরির সময়সূচী ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রকাশ করে থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সূর্যাস্তের সময়কে ইফতারের সময় আর সুবহে সাদিকের সময়কে সতর্কতামূলক সময় (৫ মিনিট বাদ দিয়ে) সেহরির শেষ সময় নির্ধারণ করে থাকে। পুরো মাশকে হাদিস ও সুন্নাহর প্রেক্ষিতে তিন ভাগে ভাগ করে, যার প্রথম দশ দিন রহমতের, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফেরাতের আর শেষ দশ দিন নাজাতের।