থাকছে না আর্টস, কমার্স কিংবা সাইন্সে পড়ার সুযোগ
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করে মাধ্যমিকে আর থাকছে না বিজ্ঞান, মানবিক কিংবা ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে (আর্টস, কমার্স কিংবা সাইন্স) পড়ার সুযোগ। এবিষয়ে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে একটি নির্দেশনা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক-২ শাখা। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশিত আদেশটি ২০২৪ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত হবে। এক্ষেত্রে, একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণ বিভাগের সকল বিষয়েই পরীক্ষায় বসতে হবে এবং বিভাগ বিভাজন থাকবে শুধু উচ্চ মাধ্যমিক বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে।
নবম শ্রেণিতে গ্রুপ বিভাজনের আদেশ কপিটি শিক্ষা উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড. খোরশেদ আলী কর্তৃক স্বাক্ষরিত। আদেশ কপিটির বিষয় হিসেবে লেখা রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন সংক্রান্ত। এতে বলা হয়েছে, মঠ পর্যায়ে উক্ত বিষয়ে আদেশ জারির প্রাধিকার প্রদান করা হলো।
আদেশটি চেয়ারম্যান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রীর একান্ত সচিব, শিক্ষা উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর একান্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একান্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সচিবের একান্ত সচিব এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিবের একান্ত সচিব বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
আদেশটি পাওয়া সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অফিসসমূহ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন শাখাসমূহকে উপর্যূক্ত বিষয়ে আদেশ প্রদান করবেন যা আগামী শিক্ষা বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত হবে।
চিরাচরিত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমাদের কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থী ও অবিভাবকগণদের মনে সব সময় একটি বিষয় ঘুরপাক খেত আর্টস নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়, কমার্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় অথবা সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়। এছাড়াও উচ্চ শিক্ষায় বিষয়ে করে স্নাতক পর্যায়ে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়তে গিয়ে উক্ত বিষয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করার কারণে একধরনের ভীতির সৃষ্টি হয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেকক্ষেত্রে বিষয়টিকে উচ্চশিক্ষায় অগ্রগতির পথের প্রতিবন্ধকতা হিসেবেও দেখা হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চিরাচরিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ২০১২ সালে সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষাক্রমে নতুন কার্যক্রম জারি করা হয় যা ২০১৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় শিক্ষাক্রমে যতসামান্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন করা হয়। তবে এবারের এই শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু পরিমার্জন নয়, শিক্ষায় রূপান্তর আনতে পাল্টে ফেলা হচ্ছে কারিকুলাম যা “জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১” নামে পরিচিত।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.