ইভ্যালির স্যামসাং পণ্য ডেলিভারিতে মাইলফলক
দেশীয় ই-কমার্স জায়ান্ট ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বিভিন্ন রেকর্ড করার পাশাপাশি নিজেই রেকর্ড অতিক্রম করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এক রেকর্ড অর্জন করল দেশসেরা এই ই-কমার্স প্লাটফর্ম। ইভ্যালি অন্যান্য প্রোডাক্ট নিয়মিত ডেলিভারির পাশাপাশি গত পাঁচ মাসে স্যামসাং ব্র্যান্ডের হোম এপ্লাইয়েন্স (মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশন, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ইত্যাদি) পণ্য এক লাখ পরিবারে ডেলিভারি দিতে সক্ষম হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকগণ কর্তৃক ঘরে বসে অর্ডার করে পণ্যগুলো বুঝে পান। ইভ্যালি ও সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে এসব পণ্য রেকর্ড পরিমান গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দেওয়ায় ইভ্যালির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক এই ইলেকট্রনিকস কোম্পানির দেশীয় উৎপাদক ও পরিবেশক ফেয়ার ইলেকট্রনিকস।
ইভ্যালির কর্তা ব্যক্তিরা জানান, বর্তমান সময়ে চলমান লকডাউন ও সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধে মার্কেট বন্ধ থাকায় মানুষকে বিকল্প উপায়ে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ছাড় ও অফারে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দেয় দেশীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লস ইভ্যালি। ফলে গ্রাহকগণ বিধিনিষেধে মধ্যেও প্রশোজনীয় পছন্দের পণ্য অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে অর্ডার করতঃ ইভ্যালির মাধ্যমে হাতে পেতে সক্ষম হয়েছে। এটি ছিল আমাদের জন্য এক বিশাল মাইলফলক ও বড় ধরনের অর্জন। আমরা ছয় মাসেরও কম সময়ে এক লাখেরও বেশি পরিবারকে তাদের কাঙ্খিত পণ্য হাতে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।
এবিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক টেক জায়ান্টের বাংলাদেশে পরিবেশক ও উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেকট্রনিকস অফিসিয়ালস জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত স্যামসাং ব্র্যান্ড ও এর পণ্যগুলোকে যেভাবে মানুষ গ্রহণ করছে, তাতে আমরা অবিভূত। আমরা আমাদের ধারণার বাহিরে অর্ডার পাচ্ছি, যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কিছুটা সময় লাগছে গ্রহককে তাঁর কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি পৌঁছে দিতে। তারপরও পাঁচ মাসে এক লক্ষ ইউনিট পণ্য আমাদের সম্মানিত ভোক্তাদের হাতে পৌঁছাতে পেরে আমরা গর্বিত। অদুর ভবিষতে আমরা আমাদের সেবার আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
ইভ্যালি ফেয়ার ইলেকট্রনিকস কর্তা ব্যক্তিরা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছ আমরা। গ্রাহক সন্তুষ্টি আমাদের বড় অর্জন। আমরা আমাদের কাজের পরিধি বাড়িয়ে তোলসর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ইভ্যালির মাধ্যমে স্যামসাং পণ্য পৌঁছে দেওয়া।
উল্লেখ্য, এর আগেও ইভ্যালি অল্প সময়ে এক লক্ষ পরিবারে স্যামসাং পণ্য পৌঁছে দেওয়ার রেকর্ড অর্জন করে।