ইসলামের দৃষ্টিতে ও কোরআনের আলোকে কথা বলার আদব
ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম যার জন্য মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা মানুষের জীবনের বিধান হিসেবে নাজিল করেছেন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। দুনিয়ায় জীবনের চলার জন্য ও জীবন-যাপনের এমন কোনো বিষয় নেই যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা পবিত্র এই আসমানী কিতাবে বর্ণনা করেন নি। দুনিয়ায় চলতে আমাদের একে অপরের সাথে কথা বলার প্রয়োজন হয়। সামান্য এই বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়েছে মানব জীবনের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার রচিত এই গ্রন্থটিতে। একজন মুসলমান অন্য মুসলিম ও অমুসলিম ভাইয়ের সাথে কিভাবে কথা বলবে, একজন শাসক কিভাবে তার অধস্তনের সাথে কথা বলবে, মহিলা কিভাবে একজন পরপুরুষের সহিত কথা বলবে, ছোটদের সাথে বড়দের কথা বলার নিয়ম ও বড়দের সহিত ছোটদের কথা বলার আদব কোনটিই বাদ পড়ে নি। আসুন দেখে নেয়া যাক পবিত্র কোরআনের আলোকে কথা বলার আদব বা নিয়ম কানুনগুলো
কিভাবে কথা বলতে হবে পবিত্র কোরআনের কাছ থেকে শিখিঃ
১. কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া। (নূর, ৬১)
২. সতর্কতার সাথে কথা বলা (কেননা প্রতিটি কথা রেকর্ড হয়) (ক্বফ, ১৮)
৩. সুন্দরভাবে ও উত্তমরূপে কথা বলা। (বাক্বারাহ, ৮৩)
৪. অনর্থক ও বাজে কথা পরিহার করা। (নূর, ৩)
৫. কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলা। (সূরা লুকমান, ১৯ ও হুজুরাত, ২ – ৩)
৬. বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলা। (নাহল, ১২৫)
৭. সঠিক কথা বলা ও পাপ মোচনের দোয়ার উন্মুক্ত করা। (আহযাব, ৭১ – ৭২)
৮. গাধার মত কর্কশ স্বরে কথা না বলা। (লুকমান, ১৯)
৯. উত্তম কথা বলে শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত করা। (হা- মীম সাজদাহ, ৩৪)
১০. উত্তম কথায় দাওয়াত দেয়া। (হা- মীম সাজদাহ, ৩৪)
১১. ঈমানদারদের কথা ও কাজ এক হওয়া। (ছফ, ২)
১২. পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষমারনীতি অবলম্বন করা। (আ’রাফ, ১৯৯)
১৩. মেয়েরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয়ও কোমল ভাষায় কথা না বলা। (আহযাব, ৩২)
১৪. মূর্খ ও অজ্ঞদের সাধ্যমত এড়িয়ে চলা। (ফুরকান, ৬৩)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা আমাদেরকে তার নির্দেশ মোতাবেক চলার তাউফিক দান করুন, আমিন।
সকলের জন্য দোয়া রইলো আমার জন্যও ইনশাআল্লাহ সবাই দোয়া করবেন আমিন।