ই-কমার্স লেনদেনে ব্র্যাক ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা
বর্তমান সময়ের আলোচিত ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালিসহ দেশীয় দশটি সাইটে কেনাকাটায় ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট, ডেবিট কিংবা প্রিপেইড কার্ড দিয়ে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রথম সারির এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। দেশীয় দশটি ই-কমার্স হলো ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, বুমবুম, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ, আদিয়ান মার্ট, নিডস ডট কম ডট বিডি, সিরাজগঞ্জ শপিং।
গত ২২ জুন ২০২১ তারিখ গণসংযোগ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে উক্ত নোটিশে বলা হয়, গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ এসব সাইটে সাময়িক সময়ের জন্য লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশীয় ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলো বিশেষ করে ইভ্যালি গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তার যাত্রা শুরুর পর হতেই গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে ও আকৃষ্ট করতে ক্যাশবেক, সাইক্লোন ও আর্থকোয়েক নাকম কিছু অফার দিয়ে আসছে, যেখানে একজন গ্রাহক বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে পণ্য অর্ডার করতে পারে। এক্ষেত্রে, ইভ্যালি ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসে পণ্য ডেলিভারি করার কথা বললেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা সরবরাহ করত ছয় মাস এমনকি একবছরে বেশি সময় নিয়ে থাকে। এছাড়া, পণ্য সরবরাহ করতে ব্যার্থ হলে গ্রাহককে বাজার মূল্য পরিশোধের তারিখ দেয়া হয়ে থাকে।
ইভ্যালির দেখাদেখি একই বিপণন নীতি অনুসরণ করে প্রায় শতাধিক নামি বেনামী প্রতিষ্ঠান একই ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে। উঠতি তরুণসহ নানা বয়সী ও পেশার মানুষ বাড়তি লাভের আসায় বিনিয়োগ করেছে। একশ্রেণীর মানুষ এটিকে পেশা হিসেবেও গ্রহণ করেছে। বিষয়টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরীভূত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল বিষয়টি তদন্ত করত একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
উক্ত প্রতিবেনটি বিভিন্ন গণমাধ্যমের হাতে পৌছলে তা নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর হতে ইভ্যালি ক্যাশবেক ও বিভিন্ন আকর্ষনীয় অফার দিয়ে আসলেও তার প্রোফিট করতে পারে নি। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান দায় প্রায় ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা যার বিপরীতে চলতি সম্পদের পরিমান মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, ইভ্যালি সম্প্রতি মূলধারার ই-কমার্স ব্যবসায় ফিরতে ইভ্যালি প্রাইয়োরিটি স্টোর নামে একটি ক্যাম্পেইন চালুর পাশাপাশি কোরবানির ঈদ ২০২১ উপলক্ষে অনলাইন গরুর হাট চালু করে।