কনডেন্সড মিল্ক রেসিপি
চা থেকে রসমালাই কিংবা অন্য কোনো ডেজার্ট আইটেম তৈরিতে প্রয়োজন হয় কনডেন্সড মিল্ক। বাজারে হরেক রকম কনডেন্সড মিল্ক রয়েছে যার প্রায় সবগুলোই ক্যান-এ করে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ক্যানে করে বাজারজাত করা এসব কনডেন্সড মিল্ক কম বেশি এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় তবে একবার ক্যান খুললে তা এক সপ্তাহের পর ব্যবহার না করা উত্তম। বাজারের এসব কনডেন্সড মিল্ক দীর্ঘদিন ধরে একই রকম রাখার জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তার রয়েছে অপকারিতা। তাই কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করার পদ্ধতি বা কনডেন্সড মিল্ক রেসিপি জানা থাকলে দাম দিয়ে তা আর বাজার থেকে কেনা প্রয়োজন হয় না।
কনডেন্সড মিল্ক কি?
কনডেন্সড মিল্ক হলো খাঁটি দুধের তৈরি ঘন মালাই যেখানে দুধে থাকা পানির অংশ থাকে না। উপরন্তু, মিষ্টির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য চিনি বা অন্য কোন মিষ্টির উৎস যোগ করা হয়ে থাকে। তবে, বাজারে প্রচলিত যেসব কনডেন্সড মিল্ক পাওয়া যায় রাত অধিকাংশই ভেজাল ও বিভিন্ন কৃত্রিম উপাদান থাকে যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করতে যেসব উপকরণ লাগবে।
যেহেতু কনডেন্সড মিল্ক হলো দুধের তৈরি খাঁটি দুধের একটি পর্যায় এবং মিষ্টি করা প্রয়োজন হয়, তাই কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করতে দুধ ও চিনি ছাড়া আর কিছু প্রয়োজন হয় না। কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করার উপাদানগুলো হলোঃ
- খাঁটি গ্রুর দুধ হাফ লিটার;
- মাখন ২ টেবিল চামচ;
- কর্ণ ফ্লাওয়ার ১/২ চামচ;
- চিনি ১ কাপ; এবং
- বেকিং সোডা ১/৪ চা চামচ।
কনডেন্সড মিল্ক রেসিপি বা প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে একটি পাত্রে দুধগুলো ছেঁকে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে দুধে যেন সর না উঠে এবং বলগ দিয়ে পড়ে না যায়। সেজন্য অনবরত নাড়তে হবে। প্রথম বলগ উঠলে মাখনটুকু দুধের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এতে ফ্যাট বাড়বে এবং কনডেন্সড মিল্ক তার চিরাচরিত রং বজায় রাখবে। ১৫/২০ মিনিট পর দুধ ঘন হয়ে আসলে অল্প অল্প করে কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে দিয়ে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন দুধের ঘনত্ব ঠিক থাকে। অল্প অল্প করে দিয়ে দেখতে হবে কতটুকু প্রয়োজন।
এরপর দুধের পরিমাণ অর্ধেক কিংবা তার কাছাকাছি আসলে চিনি দিয়ে দিতে হবে। চিনি দেওয়ার পর কেরামেল বা লালচে রঙ চলে আসবে। এসময় ঘন ঘন নাড়তে হবে না হয় কড়াইয়ের নিচে চিনি লেপ্টে যাবে। নাড়ার একপর্যায়ে যখন বুঝতে পারবেন এখন নামানো দরকার তার আগেই এক চিমটি বেকিং সোডা দিয়ে দিতে হবে।
অবশ্য বেকিং সোডা দেওয়ার পর মনে হবে মিশ্রণটি কিছুটা পাতলা হয়ে গেছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ২/১ মিনিট নেড়ে চুলার উপর থেকে নামিয়ে ফেলুন। ব্যস, হয়ে গেলো মিষ্টি কনডেন্সড মিল্ক (Sweetened Condensed Milk).
এখন ঢাকনা যুক্ত কোনো কাঁচের পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা করে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন। পাত্রের মুখ লাগিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে তৈরি করা কনডেন্সড মিল্ক ফ্রিজে রেখে সাত দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে, কৌটা বা পাত্র হতে নেওয়ার ক্ষেত্রে চামচে যেন পানি না থাকে। তাতে ফাঙ্গাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। তবে, এয়ার টাইট কোনো কৌটায় রাখলে তা তিন মাস পরেও ব্যবহার করতে পারবেন।
অনেকে ডেজার্ট আইটেম তৈরি করতে নির্দিষ্ট ফ্লেভার যুক্ত করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে কনডেন্সড মিল্ক তৈরির সময় সেই ফ্লেভার দিয়ে দিতে পারেন। ফ্লেভার দিয়ে তৈরি করতে চাইলে তা বেকিং সোডা মেশানোর সময় বা আগে দিতে হবে।