বর্তমান সময়ে শরীর ভাল রাখতে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমিষভোজীরা ডায়েট করে থাকেন। এর পাশাপাশি যদি কয়েক বেলা নিরামিষ ভোজন করা যায় মন্দ হয় না। এখন গরমের মৌসুম, দরকার শরীর যন্ত্রকে ঠাণ্ডা রাখে এমন খাবার খাওয়া। এই সময় অনেকেই আবার নিরামিষ রেসিপির খোঁজ করে থাকেন। লাইফস্টাইল পেইজ বা ব্লগগুলোতে খুঁজতে থাকেন নিরামিষ রেসিপি রান্না। গুগল করতে থাকেন নিরামিষ রেসিপি দেখাও বা নিরামিষ রেসিপি দেখতে চাই। খোঁজ চলে ইউটিউব ভিডিও রান্না দেখার।
এসব সমস্যার সমাধানে লাইফস্টাইল বাংলা ব্লগ শৈলী ডটকম ডটবিডি আজকে নিয়ে এলো এমনই একটি নিরামিষ তরকারি রেসিপি ‘শসার ডাল’ যা দৈনিক ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতঃ গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি নিরামিষে তৃপ্তি মেটাবে। শসার-ডাল রান্নায় শসা ছাড়াও বেশ কয়েকটি সবজির সাথে শাক থাকায় তা বয়স্কদের পাশাপাশি ছোটদের কাছেও উপাদেয় একটি মেন্যু। আর পুষ্টিগুণ নিয়ে থাকে না কোনো ভাবনা। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে নিরামিষ রেসিপি শসার ডাল রান্না করবেন।
নিরামিষ রেসিপি শসার ডাল রান্নার উপকরণঃ
নিরামিষ রেসিপি শসার ডাল যেহেতু পুষ্টির চাহিদা পূরণের দিকে খেয়াল রেখে করা হয়েছে তাই এই তরকারির সাথে আমরা কিছু সবজি ও শাক যুক্ত করেছি। এছাড়া মুল রেসিপির অংশ হিসেবে থাকবে শসা ও ডাল। আসুন দেখে নেয়া যাক রান্নার কি কি উপকরণ লাগবে…
- মিক্স ডাল (মসুর, মুগ, মাসকলাই, খেসারি ও বুট) ১ কাপ পরিমাণ;
- মিক্স সবজি (ঝিংগে, ধুন্দল, চাল কুমড়ো ও লাউ) ১ কাপ পরিমাণ;
- চামড়া ছেড়ে চৌকা করে কাটা কচি শসা ২ কাপ পরিমাণ;
- মিক্স শাক (পুঁই, কলমি, লাউ ও পাট) ১ কাপ পরিমাণ;
- আদা, রসুন, পেয়াজ বাটা/কুঁচি ১ কাপ পরিমাণ;
- হ্লুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুড়া আধা কাপ পরিমাণ;
- পেঁয়াজ মাঝারি সাইজের ৩/৪ টি;
- লবণ পরিমাণ মত;
- তেল ৩ টেবিল চামচ; ও
- কাঁচা মরিচ ৪/৫ টি।
নিরামিষ রেসিপি শসার ডাল রান্নার নিয়মঃ
প্রথমেই ডাল ২/৩ ঘণ্টা সমপরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরমধ্যে সকল উপকরণ প্রস্তুত করে নিতে হবে। ডাল ভালোভাবে ধুয়ে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। তাহলে খাওয়ার সময় ডালের কাঁচা গন্ধ লাহবে না। কেউ না চাইলে দরকার নেই। এ পর্যায়ে পেঁয়াজ কুঁচি, আদা, রসুন ও পেঁয়াজ বাটা, হ্লুদ মরিচ ও ধনিয়া গুড়ো, স্বাদমত লবণ ও ২/৩ টি কাঁচামরিচ দিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। মশলা ঘ্রাণ ছড়ানো শুরু করলে ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন।
মিনিট পাঁচেক ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এই পর্যায়ে মিক্স সবজিগুলো দিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এবার শাকগুলো দিয়ে দিন। ২ মিনিট অপেক্ষা ক্রুন। এই সময় চামড়া ছড়ানো চৌকা করে কাটা শসা দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে খুন্তি দিয়ে নেড়ে দিতে ভুলবেন না। তাতে ডাল কড়াইয়ের নিচে লেগে যেতে পারে। এর সাথে বাকি দুটো মরিচ দিয়ে দিন। তাতে কাঁচা লঙ্কার ঘ্রাণ পুরো সবজিজুড়ে পাওয়া যাবে।
সেদ্ধ হয়ে গেলে হালকা আঁচে পাঁচ পোড়ন ও পেঁয়াজ/রসুন কুঁচি দিয়ে বাগার দিলেই তৈরি হয়ে গেল শসা ডালের নিরামিষ তরকারি। গরম গরম পরিবেশন ক্রুন। গরম ভাতের সাথে দুপুরের খাবারে দারুন লাগবে। এছাড়া, বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির পরিপূরক দারুণ এক মেন্যু হিসেবে কাজে দিবে। ভাতের সাথে তরকারি হিসেবে যেমন পরিবেশন করতে পারবেন ঠিক তেমনি রুটি বা পরটার সাথেও খুব জম্পেশ হবে।