ব্যাংক নোটের মত কুপন বা টিকিট ছাপলে ব্যবস্থা
বাংলাদেশের প্রচলিত ব্যাংক নোট বা টাকার অবয়বে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের বিল, কুপন কিংবা লটারি বা অন্য কোনো ধরনের টিকিট ছাপাতে কিংবা লেনদেন করতে পারবে না। একই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিরেকে ইলেক্ট্রনিক কার্ডের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন করার জন্য কার্ড তৈরি করা যাবে না। আইন অনুযায়ী এসব তৈরি বা ছাপানো, বিলি বা লেনদেন নিষিদ্ধ। নিয়ম বহির্ভূত এসব কাজে কিছু প্রতিষ্ঠান জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা যায় তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কার্ড বিক্রি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ তুলে নিচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া, একটি রেস্টুরেন্ট ব্যাংক নোটের সাদৃশ্য বিল তৈরি করে কুপন হিসেবে বিক্রি করছে যা দিয়ে কাস্টমারগণ খাবার বিল পরিশোধ করছেন। উভয় ক্ষেত্রেই বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রেক্ষিতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ব্যাতিত কেউ কোনো ধরনের কার্ড তৈরি বা কুপন ছাপাতে পারবে না। বিষয়টি অইন বহির্ভূত হওয়ায় এ বিষয়ে ৩০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে অবস্থিত বিনোদন পার্ক, হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যাংক নোটের আদলে খাবার বিল, টোকেন বা টিকিট ছাপিয়ে তা বিলি ও ব্যবহার করে আসছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি অবৈধ চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে।