ADs BB
ADs BB

ব্রাজিল বনাম জার্মানি হেড টু হেড পরিসংখ্যান

১৯৬৩ সালে হতে ব্রাজিল বনাম জার্মানি নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে যেখানে ৩৩ টি ম্যাচ খেলে। পরিসংখ্যানেনদেখা যায় ২৩ ম্যাচে ব্রাজিল এবং ৫ টি ম্যাচে জার্মানি জয়লাভ করে। অপর ৫ টি ম্যাচ ড্র হয়।

0 ১১,৮৫৯

ফুটবল বিশ্বে আবেগের একটি নাম ব্রাজিল বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশের মানুষের কাছে। এতটা আবেগ অন্য কোন দল নিয়ে হয় না যতটা হয় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা হেড টু হেড পরিসংখ্যান নিয়ে। তাই গুগলে কেউ ব্রাজিল বানাম অন্য যে কোনো দল লিখে সার্চ দিলে আমরা যা দেখি তা থেকেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নিয়ে বাঙ্গালী আবেগের স্থান বুঝতে বাকি থাকে না। ব্রাজিল বনাম জার্মানি হেড টু হেড পরিসংখ্যান লিখে গুগল করলে সার্চ রেজাল্ট হিসেবে ‘সর্বোচ্চ গোল খাওয়া দল‘, ‘Brazil যত লজ্জার রেকর্ড‘ দেখানোরপাশাপাশি ‘আর্জেন্টিনার ১১ গোল খাওয়ার রেকর্ড’ সার্চ ট্যাগটিও দেখায়। অবশ্য, জার্মনিও ফুটবল জগতে একটি অন্যতম দল যার রয়েছে বেশ কয়েকবার ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা ও ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে হরানোর অভিজ্ঞতা।

ব্রাজিল বনাম জার্মানি হেড টু হেড (Brazil vs Germany Head to Head) খেলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দল দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী হিসেবে ১৯৬৩ সাল হতে খেলে আসছে। এপর্যন্ত ২৩ টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্টে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যেখানে ব্রাজিল ১৩ টি ম্যাচে জয়লাভ করে তবে, পাশাপাশি ব্রাজিলের যত লজ্জার রেকর্ড বা পরাজয়গুলো রয়েছে তাও কয়েকটি রয়েছে জার্মানির সাথে। এছাড়া, ৫ টি ম্যাচে জার্মানি জয়লাভ করে এবং অপর ৫ টি ম্যাচ ড্র হয়।

 Brazil যত লজ্জার রেকর্ড

প্রথম ম্যাচ ৫ মে ১৯৬৩, আন্তর্জাতিক এক প্রীতি ম্যাচে দল দুটো নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের চেষ্টায় মাঠে নামে যেখানে ব্রাজিল ২-১ গোলে জার্মানিকে পরাজিত করে। এরপর ১৯৬৫ সালের ৬ জুন আবারও এক প্রীতি ম্যাচ খেলতে মুখোমুখি হলে ব্রাজিল জার্মনির বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়লাভ করে।

পরপর দুটি ম্যাচে ব্রাজিল জার্মানির বিপক্ষে জয় পেলেও দল দুটির তৃতীয় ম্যাচে জার্মানি ব্রাজিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়লাভ করে  যা ১৬ জুন ১৯৬৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর দল দুটো আরেকটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হলে খেলাটি ২-২ গোলে ড্র হয়।

দীর্ঘ ৫ বছর পর ১৯৭৩ সালের ১৬ জুন অন্য এক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামে দল দুটি যেখানে জার্মনিকে ১-০ গোলে হারতে হয়েছে। ১৯৭৭ সালের ১২ জুন আরেক ম্যাচের খেলাটি ০-০ গোলে ড্র করে দল দুটি এবং পরবর্তী বছরের ১২ জুনের খেলায় অবশ্য জার্মানিকে হারতে হয়েছে ১-০ গোলে।

আর্জেন্টিনার ১১ গোল খাওয়ার রেকর্ড

৭ জানুয়ারি ১৯৮১ সালে গোল্ড কাপ টুর্ণামেন্টের সুবাদে দল দুটো মুখোমুখি হলে ব্রাজিল জার্মানিকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে এবং একই বছরের ১৯ মে এক প্রীতি ম্যাচে তারা আবারও খেলতে নামে এবং ফলাফল ২-১ গোলে জার্মানির পরাজয় হয়। ১৯৮২ সালের ২১ মার্চ এক প্রীতি ম্যাচের খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়লাভ করলে পরবর্তী খেলা ১২ মার্চ ১৯৮৬ সালে জার্মানি ২-০ গোলে জয়লাভ করে।

১৯৮৭ সালের ১২ ডিসেম্বরের ম্যাচটি অবশ্য ১-১ গোলে ড্র হয়। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে আবারও দল দুটি এক ম্যাচের খেলায় ৩-১ গোলে ফলাফল করে যেখানে ব্রাজিল জয়লাভ করে। ১৯৯৩ সালের ১০ জুন ইউএস কাপ খেলার সুবাদে দল দুটো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পায় যেখানে ৩-৩ গোলে ড্র করে। একই বছরের ১৭ নভেম্বর এক প্রীতি ম্যাচে আবারও খেলার সুযােগ পায় দুই দল যেখানে জার্মানি ব্রাজিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায়।

পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে খেলতে নামলে দল দুটো ২-১ গোলে ফলাফল করলে ব্রাজিল জয়লাভ করে। তবে, ১৯৯৯ সালের ২৪ জুলাই প্রতিদ্বন্দ্বিতার করা ম্যাচে ব্রাজিলকে জার্মানি ৪-০ গোলে পরাজিত করে যা জার্মানির সাথে ব্রাজিলের লজ্জাজনক পরাজয় গুলোর একটি।

সর্বোচ্চ গোল খাওয়া দল

১৯৯৯ সাল পরবর্তী দল দুটো ২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সুবাদে মুখোমুখি হলে ব্রাজিল ২-০ গোলে জয়লাভ করে হবে ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক এক প্রীতি ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়। অবশ্য, ২০০৫ সালের খেলায় ব্রাজিল ৩-২ গোলে জয়লাভ করে।

২০০৫ সালের পর দল দুটির সমর্থকদের দীর্ঘদিন প্রতীক্ষা করতে হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে মাঠে দেখতে। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক এক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হলে জার্মানি জয়লাভ করে ব্রজিলে বিপক্ষে যেখানে ৩-২ গোলে ফলাফল নির্ধারিত হয়।

পরবর্তী ম্যাচটি ব্রাজিলের জন্য সেভেন আপ খ্যাত একটি ম্যাচ যা ব্রাজিলে লজ্জাজনক পরজয়ের একটি ম্যাচ। ৮ জুলাই ২০১৪ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ এর সুবাদে দল দুটো খেলতে নামলে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলের লজ্জাজনক এর হারের সম্মুখীন হতে হয়।

পরের ম্যাচটি ছিল আন্তর্জাতিক এক প্রীতি ম্যাচ যেখানে ব্রাজিল ১-০ গোলে জার্মানির বিপক্ষে গত ২৭ মার্চ ২০১৮ এর খেলায় জয়লাভ করে।

শেষকথা

বিশ্বের বিভিন্ন জনপ্রিয় ও বড় বড় দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্বকাপে বেশি হলে ব্রাজিল ও জার্মানির হেড টু হেড পরিসংখ্যান কিন্ত আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেই বেশি। বিশেষ করে সর্বশেষ দুটি বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে ‍দুটি খেলা হয়েছে।  এদিকে, বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচি প্রকাশ করেছে ফিফা। দেখা যাক কাতার বিশ্বকাপ ২০২২-এ দেখ হয় কিনা দুই মহাদেশের দুই দেশের মধ্যে

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.