ব্রাজিল বনাম পেরু হেড টু হেড
ব্রাজিল ও পেরু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দল দুটির বিভিন্ন ম্যাচ (হেড টু হেড) পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায় ফলফল জয়ী হিসেবে ব্রাজিল এগিয়ে। পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিল ১৯৩৫ সাল হতে অদ্যাবধি ৪৯ টি ম্যাচ খেলে। তারমধ্যে জয়লাভ করে ৩৫ টি ম্যাচে এবং হারতে হয়েছে ৫ টি ম্যাচে। এরমধ্যে ৯ টি ম্যাচ অমীমাংসিত থাকে অর্থাৎ ড্র হয়। সে হিসেবে মঙ্গলবারের ম্যাচটি ব্রাজিলের পক্ষেই থাকছে বলে আশাবাদী। এর পাশাপাশি, স্বাগতিক হিসেবে ব্রজিলের মাঠে হওয়া খেলা ব্রাজিলের পক্ষে থাকবে বলেও আশা করা যায়।
ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান বিচারে দেখা যায়, ১৯৩৬ সালের ৩৭ ডিসেম্বর প্রথম কোপা আমেরিকা ম্যাচে মুখোমুখি হয় যেখানে ব্রাজিল জয়লাভ করে। পরবর্তীতে কোপা আমেরিকা ১৯৪২ ও ১৯৪৯ সালে আবারও মাঠে নামে দল দুটি যেখানে ২-১ ও ৭-১ গোলে জয়লাভ করে ব্রাজিল।
তিন বছর পর ১৯৫২ সালের এপ্রিলে মুখোমুখী হয় দুই দল যেখানে খেলাটি ০-০ গোলে অমিমাংসীত থেকে যায়। কিন্তু ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসের কোপা আমেরিকা আসরে একটি ম্যাচে ব্রাজিলকে পেরুর নিকট ১-০ গোলে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। এরপর ১৯৫৬ সালের দুটি ম্যাচে এবং ১৯৫৭ সালের ৩১ মার্চ পরপর তিনটি ম্যাচে ব্রাজিল জয়লাভ করলেও ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে ১৯৫৭ আসরের ১৩ ও ২১ এপ্রিল হওয়া দুটি আসরের প্রথমটিতে ব্রাজিল ১-১ গোলে ড্র করলেও পরের ম্যাচে ১-০ গোলে বিজয়ী হয়।
একবছরের বিরতীতে আবারও দল দুটি ১৯৫৯ সালে কোপা আমেরিকা আসরের একটি ম্যাচে মুখোমুখি হয় যেখানে ফলাফল ২-২ গোলে ড্র হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালের একটি ম্যাচে ব্রাজিলকে ১-৩ গোলে পেরুর নিকট হারতে হয়েছে যেখানে এর পূর্বের নয়টি (১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৬, ১৯৬৮, ১৯৬৯ ও ১৯৭৯) ম্যাচে ব্রাজিল জয়লাভ করে যার বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। ১৯৭৫ কোপা আমেরিকা কাপের এক ম্যাচে পেরুর নিকট পরাজয় বরণ করলেও ৪ অক্টোবর একই আসরের অপর ম্যাচে ব্রাজিল ২-০ গোলে পেরুকে পরজিত করে।
পরবর্তীতে ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে উভয় দলের মধ্যে ফিফা বিশ্বকাপের দুটি ও প্রীতি ম্যাচের একটিসহ মোট তিনটি আসরে ব্রাজিল পেরুর বিরুদ্ধে জয়লাভ করলেও ২৮ এপ্রিল ১৯৮৫ সালের এক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল পেরুর নিকট ১-০ গোলে পরাজয় বরণ করে।
১৯৮৬ ও ১৯৮৯ সালে ব্রাজিল ও পেরুর মধ্যে আরও দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ব্রাজিল ৪-০ ও ৪-১ গোলে জয়লাভ করে। এরপরের তিনটি ম্যাচ (১৯৮৯ সালে দুটি ও ১৯৯৩ সালে একটি) সবকটিতেই ব্রজিল ও পেরুর অপ্রতিদ্বন্দীতায় ড্র (১-১, ০-০, ০-০) হয়। কোপা আমেরিকা কাপের পরের দুটি আসরে (১৯৯৫ ও ১৯৯৭) ব্রাজিল পেরুর বিরুদ্ধে ২-০ ও ৭-০ গোলে জয়লাভ করে।
পরবর্তী দুটি ম্যাচে ব্রাজিল ও পেরু মুখোমুখী হয় ফিফা বিশ্বকাপ আসরের সুবাদে যেখানে দুটি ম্যাচের একটি ২০০০ সাল ও অন্যটি ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং দুটির একটিতে ব্রাজিল ১-১ গোলে জয়লাভ করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ০-০ গোলে খেলার ফলাফল অমিমাংসীত থেকে যায়।
২০০১ সালে কোপা আমেরিকা আসরের এক ম্যাচে ব্রাজিল পেরুর বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের ১৬ নভেম্বরের ম্যাচ ও ২০০৭ সালের ১৮ নভেম্বরে ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করলেও ২০০৫ সালের একটি ম্যাচে ব্রাজিল ১-০ গোলে পেরুর বিপক্ষে জয়লাভ করে।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে একটি ও ২০১৫ সালের দুটিসহ মোট তিনটি ম্যাচে ব্রাজিল পরপর জয়লাভ করলেও ২০১৬ সালের ১২ জুন মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে ব্রাজিল ১-০ গোলে পেরুর নিকট হেরে যায়।অবশ্য ২০১৬ সালের অন্য এক ম্যাচে ব্রাজিল আবারও পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়লাভ করে।
২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা আসরের দুটি ম্যাচে ব্রাজিল ৫-০ ও ৩-১ গোলে জয়লাভ করে। অপরদিকে, একই বছর একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পেরুর নিকট ০-১ গোলে ব্রাজিল হেরে যায়।
২০২০ সালের ১৮ জুলাই দুই দলের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ঐসময়ে চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের জুলাই মাসে রিশিডিউলড করা হয়েছে। একই বছরের ১৩ অক্টোবর ও ২০২১ সালের ১৭ জুন হওয়া ম্যাচ দুটোতে ব্রাজিল ৪-২ ও ৪-০ গোলে জয়লাভ করে।