ব্লাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্লাক রাইস বা কালো চালের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে। কালো চালের ভাত বা ব্লাক রাইস এর উপকারিতা অন্য সাধারণ চালের চাইতে বেশি হওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী এর যোগান বা সরবরাহ কম থাকায় কালো চালের দাম কিছুটা বেশি। কালো চালের দাম ও এর চাহিদা বেশি হওয়ায় কালো ধনের বীজ বা ব্লাক রাইস চাষ পদ্ধতি এবং ব্লাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় বিষয়ে খোঁজ করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা ও খুলনা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ব্লাক রাইস চাষ করা হলেও বাণিজ্যিকভাবে এর বীজ পাওয়া দুষ্কর। শৈলী এগ্রো বাংলাদেশের কৃষক তথা কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য কালো চালের বীজ ধান সরবরাহ এবং চাষ পদ্ধতি নিয়ে এই ব্লগটি নিয়মিত আপডেট নিউজ বা সংবাদ প্রচার করবে।
কালো ধান বা ব্লাক রাইস
কালো রংয়ের ধান যাতে চালও হয় কৃষ্ণ বর্ণের। চৈনিক এই আদি জাতের ধান ব্লাক রাইস বা কালো চাল নামে খ্যাত যাকে অনেকেই বেগুনি চাল বলেও চিনে থাকে। প্রচীন কালে চীনে এই চাল উৎপাদন হতো। এর বিশেষ গুণাবলী জন্য ঐ অঞ্চলের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী এই প্রজাতির ধান চাষকে সর্বসাধারণের জন্য সীমিত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। শুধুমাত্র সম্রাট বা তার পরিষদের সদস্য এবং রাজা পরিবারের সদস্যদের জন্য গোপনে চাষ করা হতো। কারন হিসেবে রয়েছে এর অত্যধিক ঔষধিগুণ ও জীবনীশক্তি বৃদ্ধি কারক বৈশিষ্ট্য। কালো ধানের বিভিন্ন জাত রয়েছে তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান কালো চাল, ফিলিপাইন ’বালাতিনা চাল’, থাই ’জুই’ বা ’জেসমিন’ এবং মনিপুরী কালো চাল ’চক-হাও’ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশেও বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে এলাকাভেদে এগুলোর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের কুমিল্লা, নওগাঁ, খুলনা এবং চট্টগ্রাম জেলার কৃষকদের মাঝে এই জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখা যায়।
ব্লাক রাইস বা কালো ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যায় (Black Rice in Bangladesh)
ব্লাক রাইস বা কালো ধান চাষ আমাদের দেশের আধুনিক কৃষক বা তরুন কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেলেও কালো ধানের বীজ এখনও সহজলভ্য নয় বিধায় ব্লাক রাইস বা কালো ধান বীজ কোথায় পাওয়া যায় তা নিয়ে খোঁজ খবর করতে দেখা যায়। আমাদের দেশের জনপ্রিয় ইকমার্স সাইটগুলো খুজে দু/একটিতে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ইকমার্স সাইট অ্যামাজন ডট কম এবং ইবে ডট কম-এ পাওয়া গেলেও তা অত্যধিক মূল্য হেতু আমাদের দেশের কৃষক তথা স্মার্ট তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে।
তবে ব্যাক্তি পর্যায়ে অনেক কৃষক ব্লাক রাইস বীজের যোগান দিয়ে থাকে। এছাড়া, কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য শৈলী এগ্রো তাদের বিপণন ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে খুবই স্বল্প মূল্যে ব্লাক রাইস ধানের বীজ বিপণনে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে যা কুরিয়ার মারফত সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক রাইস প্রাইস ইন বাংলাদেশ বা কালো ধানের দাম (Black Rice Price in Bangladesh)
আমাদের দেশের জনপ্রিয় ইকমার্স সাইটগুলো খুজে দু/একটিতে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ইকমার্স সাইট অ্যামাজন ডট কম এবং ইবে ডট কম-এ এটি সহজলভ্য হলেও তার দাম অনেক বেশি। তবে, অ্যামাজন ইন্ডিয়াতে ৪৯৯ রূপিতে বিক্রি হয়।
কালো চালের পুষ্টিগুন
চালের উপর কালো বা বাদামী প্রলেপযুক্ত ব্লাক রাইস বা কালো চালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও বার্ধক্যরোধে কাজ করে। এটি ব্যবহারে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জৈবিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ এই চালে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, আয়রন, থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। এছাড়াও এই চালে রয়েছে উচ্চ মাত্রার হজমের জন্য উপকারী ফাইবার। অন্যান্য চালের তুলনায় কালো চালের ভাতে রয়েছে কম শর্করা, কোলেস্টেরল ও ফ্যাট।
ব্লাক রাইস এর উপকারিতা
ওরাইজা সাতিভা জাতভুক্ত ব্লাক রাইস বা কালো চালের ভাতে রয়েছে সবথেকে বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট যা দুরারোগ্য ব্যধি হতে মানুষের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এক সময়ে এই চালটি শুধু রাজ পরিবারের সদস্যরা ব্যতিত অন্য কারোর ব্যবহারের অনুমতি ছিল না কারণ এই চালকে তৎকালীন রাজা বা শাসকগণ জীবনীশক্তির আধার হিসেবে ব্যবহার করত। এছাড়া, এতে থাকা খাদ্যগুন মানুষের জৈবিক চাহিদা বৃদ্ধি করত বলে এই চালের ভাত রাজ পরিবারের মহিলাদের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এসব করানে এই চালের চাষাবাদ ও ব্যবহার সাধারণের জন্য সীমিত করা হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন গবেষণায় এসকল তথ্যাদির প্রমাণ পাওয়ার পাশাপাশি মানব শরীরের জন্য আরো উপকারিতা রায়েছে বলে জানা যায়। এতে এমন কিছু উপাদার রয়েছে যা মানুষের শরীর হতে ক্ষতিকর উপাদান দুর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এই চালের ভাত নিয়মিত খেলে হার্ট শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধি পায়। এই চালের উপর কালচে বা বাদামি রংয়ের আবরণ থাকায় তা অধিক ফাইবারের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
ই চালে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একধরনের উপকারী উপাদান যা মানুষের শরীরের রক্তের সংক্রামন প্রতিরোধ করতে সক্ষম এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিক ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সহয়াক হিসেবে কাজ করে।
এই চালে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন মানুষের টিস্যুর বার্ধক্য কমানোর পাশাপাশি শরীরে তারুণ্য ও দীর্ঘায়ু বজায় রাখে।
এই চালে রয়েছে অন্যান্য সকল চালের তুলনায় বেশি পরিমানে প্রোটিন (প্রতি ১০০ গ্রামে ৯ গ্রাম)। গবেষণায় আরো দেখা যায় যে এতে থাকা উপাদান মানুষের দৃষ্টি শক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এই চাল প্রকৃতিগত ভাবে গ্লুটেইন মুক্ত যা আমাদের সচরাচর খাবারগুলো যেমন সাদা চালের ভাত, গম হতে তৈরি আটা কিংবা ময়দা, যব ইত্যাদিতে অনেক বেশি থাকে। এটি নিয়মিত আহারে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মস্তিকের কার্যক্ষমাত বৃদ্ধি পায়। এই চাল আয়রনের উৎস হিসেবেও কাজ করে।
ব্লাক রাইস চাষ পদ্ধতি
আমাদের দেশে এখনো ব্লাক রাইস বা কালো চালের ধান চাষ প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় হয়ে না উঠলেও এটি ভারতের গুটিকয়েক প্রদেশ বিশেষ করে মনিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ হয়ে আসছে। এই ধান পলি যক্ত বেলে-দোআঁশ মাটিতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।
ব্লাক রাইস বা কালো ধান অন্যান্য ধানের বীজ হতে তুলনামূলকভাবে একটু চিকন ও লম্বাটে। এক্ষেত্রে, জমির পরিমান অনুযায়ী ধানের পরিমান নির্ধারনে নতুন চাষিগণ একটু দ্বিধান্বিত হন। অন্যান্য ধান যেখানে ১ কেজিতে ১০ শতক আবাদ কারা গেলেও এই জাতে ১ কেজি ধানে ১২ শতক আবাদ করা সম্ভব। অর্থাৎ এক বিঘা জমির জন্য সর্বোচ্চ ৩ কেজি ধান প্রয়োজন।
কলো ধানের বীজ অঙ্কুরোদগম করার পদ্ধতি
ভালো ফসলের জন্য যেমন ভালো বীজ প্রয়োজন ঠিক তেমনই প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতিতে অঙ্কুরোদগম করা। একেক ধরনের বীজের অঙ্কুরোদগমও একেক রকম।
১। কলো ধানের বীজ অঙ্কুরোদগম করার পূর্ব বীজের জন্য রাখা ধানগুলো হালকা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
২। তারপর একটি পাত্রে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল নিয়ে তাতে বীজগুলো ২৪ ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই সময় ভেসে উঠা চিটা ধানের বীজগুলো তুলে ফেলে দিতে হবে।
৩। ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা ধানের বীজগুলো পানি থেকে ছেঁকে নিয়ে সম্পূর্ণ পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
৪। ছেঁকে নেওয়া বীজগুলোর পানি সম্পূর্ণ ঝরে গেলে একটি পাত্রে ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মুখ বন্ধ পাত্রে রেখে দিতে হবে।
২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে অংকুরিত হওয়া সাপেক্ষে বীজগুলো বীজতলায় ছিটিয়ে বপন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অংকুরিত বীজ যেন কাদামাটির ২-৩ সেন্টিমিটারের বেশি ভেতর না প্রবেশ করে এবং বীজের ঝটগুলো খুলে দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে, ছিটিয়ে বীজ বপন করার ক্ষেত্রে জমে থাকা পানির মধ্যে যেন বীজ না পড়ে এবং বীজ ছিটানো ও অংকুরিত হওয়ার পর হতে ৭-১০ দিন পর্যন্ত নিয়মিত পানি ছিটিয়ে মাটি ভেজা ভেজা রাখতে হবে।
বীজতলায় বপন করা ধানের চারার বয়স ২৫-৩০ দিন হলে মূল জমিতে বপন করতে হবে।
বীজতলা ও জমি প্রস্তুত করার নিয়ম
কলো ধানের বীজ বপনের জন্য বীজতলা ও জমি তৈরির জন্য প্রথমেই ট্রাক্টর দিয়ে দুই বা তিনটি চাষ দিয়ে নিতে হবে। তবে, শেষ চাষ দেওয়ার পূর্বে প্রথম পর্বের সার দিয়ে দিতে হবে। বীজতলায় বীজ বপনের পূর্বে এক ইঞ্চি পুরু করে জৈব সার ও খড়ের ছাই ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে গাছ দ্রুত বাড়বে এবং চারা তুলতে শেকড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
চারা গাছ বপন পদ্ধতি
চারার বয়স ১৫-২০ দিন হলে বীজতলা হতে চারা তুলে ২/১ দিন পানিতে রেখে নতুন শেকড় আসা শুরু করলে মূল জমিতে সারি সারি করে করে বপন করতে হবে। এক্ষেত্রে, জমির আগাছা পরিষ্কার ও সার ব্যবস্থাপনা সহজ হয়।
জমিতে চারাগাছ হতে চারাগাছ ৪ ইঞ্চি এবং সারি হতে সারি ৬ ইঞ্চি দুরত্বে বপন করতে হবে।
জমিতে সার দেওয়ার নিয়ম
এই ধান চাষে জমি তৈরির সময় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে পরবর্তীতে সার প্রয়োগ সহজ ও খুবই কম দিতে হয়। বীজতলা হতে চারা গাছ জমিতে বপনের পূর্বে ১ম পর্বের সার প্রয়োগ করা হলে আর মাত্র দুই পর্ব সার প্রয়োগ করে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। এক্ষেত্রে, সার প্রয়োগ ও সেচ দুটোই পারস্পরিক সম্পর্কিত। এখানে সার প্রয়োগের হার একর প্রতি দেখানো হয়েছে। পঁচা গোবর শুকিয়ে গুড়ো অথবা কম্পোস্ট বা জৈব সার ২০০-২৫০ কেজি, ইউরিয়া ও টিএসপি ৩০-৪০ কেজি, এমপি ৩৫-৪৫ কেজি, জিপসাম ১০-১৫ কেজি, দস্তা ও বোরিক অ্যাসিড ৩-৪ কেজি।
জমি তৈরির সময় (চারা বপনের ৪/৫ দিন আগে হলে ইউরিয়া ব্যাতিত) অথবা চারা বপনের ৭ দিন পর ১ম পর্বের সার (তিন ভাগের এক ভাগ) ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। তবে, প্রথম পর্বে এমপি সার প্রয়োগ না করাই ভালো। চারার বয়স ২৫-৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের সার ও ৪০-৪৫ দিন পর তৃতীয় পর্বের সার দিতে হবে। প্রতিবার সার প্রয়োগের আগে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করতে হবে।
জমিতে সেচ বা পানি দেওয়ার নিয়ম
চাষ দিয়ে জমি তৈরির সময় চিপ চিপে পানির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। চারা বপনের সময় বেশি পানি থাকলে চারা গাছ হেলে পড়ার সম্ভবনা থাকে।
চারা বপনের পর ও ১ম পর্বের সার দেওয়ার সময় জমির অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০-২৫ দিন পর ২য় পর্বের সেচ দিতে হবে। এক্ষেত্রে, চারা বপনের ২০ দিন পর বা দ্বিতীয় সেচ দেওয়ার পূর্বে জমির পানি এমনভাবে শুকাতে হবে যেন মাটিতে হেটে যাওয়া সম্ভব হয়।
এই ধান চাষের জন্য জমি সবসময় রসযুক্ত রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন জমি একেবারে শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জমির ধরন ও পানি ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী সেচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
তবে, শেষ পর্বের সেচ দিতে হবে জমিতে ফুল আাসার আগে বা ধানের থোড় দেখা গেলে। সাধারণত, ফুল আাসার ৩০-৩৫ দিন পর ধান কাটা সম্ভব। তাই শেষবার সেচ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে কখন ফুল আসে। ফুলের পরাগায়নের পর হতে ধান পাকা পর্যন্ত জমি পানিশূন্য রাখতে হবে।
ফসল সংগ্রহঃ ফুল আসার পর পরাগায়নের সময় হতে জমির অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ধান কিছুটা কম সময়ে পরিপক্ব হয়। সাধারণত ফুল আসার ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ধান পাকলে এবং ধান মোটামুটি কালো বর্ণ ধারণ করলে কাটার উপযোগী হয়।
ফলনঃ জমিতে সার ও সেচ প্রয়োগ এবং আগাছা পরিষ্কারে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে প্রতি একরে ৭৫-১০০ ধান পাওয়া যায়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.