২৬তম বাণিজ্য মেলা ২০২২ সালে জানুয়ারিতপ
২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী হতে রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়। জানা যায়, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-কে। এদিকে, মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্য মেলা ২০২২ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা শুরু করেছে।
বাণিজ্য মেলা কোথায় হয়?
সাধারণত, ১৯৯৫ সাল হতে গত ২৫ টি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেরেবাংলা নগরস্থ বাণিজ্য মেলা মাঠে হয়ে আসলেও উক্ত সময়ে মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা এলাকায় যানজট ও লোকসমাগম অনেক বেশি বেড়ে যওয়ায় ঢাকার অদুরে পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ২০১৭ সালে ২০ একর জায়গার একটি এক্সিবিশন সেন্টার তৈরির ঘোষণা করে সরকার। চীন ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর এই স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় যা ‘বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টার’ নামে পরিচিত।
পূর্বাচলের নতুন এই ভেন্যুটিতে রয়েছে ৩৩ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী স্পেস। এছাড়া, ফ্লোর স্পেস হলো ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার আর এক্সিবিশন স্পেস হলো ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।
রয়েছে দ্বিতল গাড়ি পার্কিং যার পরিমান ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার যেখানে ৫০০ টি গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া, মেলার বাইরের খোলা যায়গায় আরও একহাজার গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এক্সিবিশন সেন্টারটির ভবিষ্যত নামকরণ হবে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ প্রথম মেলার উদ্বোধন ও আয়োজনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২১ শেষ পর্যন্ত আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়।
২৬ তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২ কোথায় হবে
আয়োজকেরা জানান, মাঠ পর্যায়ে পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেলার তারিখ ঘোষণা ও অনুমোদন সাপেক্ষে উদ্ভোধন অপেক্ষা ভেন্যু।
এবারই প্রথম এক ছাদের নিচের আয়োজিত হতে যাচ্ছে বাণিজ্য মেলা। আগের বছরগুলোর ন্যায় মেলা শুরুর তিন মাস আগেই স্টল বরাদ্দের টেন্ডার বা বিজ্ঞপ্তি ডিআইটিএফ এর ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
শেরেবাংলা নগরস্থ বাণিজ্য মেলার ভেন্যুর তুলনায় পূর্বাচলের নতুন বাণিজ্য মেলা ভেন্যু ছোট হওয়ায় সেখানে স্টলের ক্যাটাগরি ও সংখ্যা কম হবে। মাত্র ২০ একর জায়গার উপর বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে রয়েছে ৯ বর্গফুট আয়তনের ৮০০ টি স্টল। তবে, এর বাইরে ৬ একর খোলা জায়গা রয়েছে যেখানে চাইলে অস্থায়ী স্টল করা যাবে।
শেরেবাংলা নগরস্থ বাণিজ্য মেলা মাঠের আয়তন ছিল ৩২ একর (পার্কিংসহ) যেখানে বিশাল পরিসরে মেলার আয়োজন করতে ছিল ১৩ ক্যাটাগরির স্টল স্পেস। বিগত কয়েক বছর নিম্নমানের কিছু প্রতিষ্ঠান মেলার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডকে ক্ষুণ্ণ করেছে মর্মে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় ও স্টল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার সুপারিশ থাকায় ১৩ ক্যাটাগরির স্টল সংখ্যাকে মাত্র চারটি ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়। এর পাশাপাশি কমানো হয় স্টলের সংখ্যা।